লবণের উপকারিতা ও অপকারিতা

ছবি: লবন

লবণের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটিই আছে। লবণ বেশি খেলে, বা কম খেলে অথবা না খেলেও শরীরের ক্ষতি হয়। লবণের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাচ্ছেন ডা. সঞ্চিতা বর্মন।

আরো পড়ুন: বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য লবণ খুবই দরকারী। লো ব্লাড প্রেসারের জন্য লবণ উপকারী। লবণ মাংসপেশি ব্যথা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

এসব ছাড়াও সাইনাসের কনজেশন দূর করতে এবং সর্দি কমাতে লবণ সাহায্য করে।

শুকনো কাশি হলে মুখে সামান্য লবণ রেখে দিলে ঘন ঘন কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

স্ট্রেস ফুড হবার কারনে লবণ সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমের উদ্দীপনা বাড়ায়, এতে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বেশি লবণ খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের সম্ভাবনা থাকে।

খাবারে বেশি পরিমাণ লবণ খাওয়া হলে পাকস্থলীর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ধীরে ধীরে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে আলসার বা ক্যান্সার ও হতে পারে।

হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয় লবণ। এছাড়া শরীর থেকে বর্জ্য বের হতে লবণ ব্যাঘাত ঘটায়। একারনে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি এবং বাতের সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুন: রং চা এর উপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক চার থেকে পাঁচ গ্রামের বেশি যারা লবণ খায় তাদের এসব সমস্যা বেশি হয়। এজন্য প্রতিদিন দেড় থেকে দুই গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া ঠিক নয়।

যতটা প্রয়োজন রান্নার সময় ততটা লবণ ব্যবহার করতে হবে। খাবার টেবিলে বার বার কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমিয়ে ফেলতে হবে।

যে সকল খাবারে বেশি লবণ থাকে যেমন – প্যাকেটজাত স্যুপ, আচার, স্যান্ডউইচ, পটেটো চিপস, পপকর্ন বা পনীরের বার্গার  এসব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

যারা ডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত তাদের লবণ খাওয়া একেবারেই নিষেধ।

Photo Credit: Pixabay

ডেস্কটপ ভিউ দেখুন