পানি পানের উপকারিতা

পানি পানের উপকারিতা আমরা সকলেই জানি। পানির অপর নাম জীবন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। আমাদের অনেকেরই নির্দিষ্ট সময় খাবার খাওয়ার ছাড়া পর পানি পান করার অভ্যাস নেই। আবার অনেকের কাজের চাপে ব্যস্ত থাকার কারনে ও পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না। কিন্তু শরীর সতেজ ও রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করার অভ্যাস করা দরকার। গ্রীষ্মকালে সারাদিনে ১৫ গ্লাস এবং শীতকালে সারাদিনে ১১ গ্লাস পান করার কথা বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পানি পানের উপকার কি এ সম্পর্কে জানিয়েছেন ডা. সঞ্চিতা বর্মন।

আরও পড়ুন : সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা কি

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পর খালি পেটে ১ থেকে ২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটা করলে শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ সকাল থেকেই শুরু হয় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান গুলো বের হয়ে যায়।

সবসময় খাবার খাওয়ার দশ মিনিট আগে পানি পান করতে হবে। জিহ্বার স্বাদ গ্রন্থি গুলোকে পানি সচল করে। অসময়ে যদি খিদে লাগে, তাহলে প্রথমে ঠান্ডা পানি পান করা দরকার। অনেক সময় পানির তৃষ্ণা ও ক্ষুধার অনুভূতি দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

এছাড়া হালকা নাস্তার সঙ্গে পানি পান শরীরের ওজন কমাতে অনেক উপকার করে। যে কোন কাজ শুরু করার আগে এবং কাজ শেষ হবার পরে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা দরকার। এতে কাজ করার সময় শরীর ঝরঝরে বা চাঙ্গা থাকে এবং পরিশ্রমের পর শরীরে নতুন এনার্জি তৈরি করতে যে পানি খরচ হয় সেটার ঘাটতি পূরণ হয়।

এ ছাড়া সর্দি, জ্বর অথবা যে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে বেশি বেশি পানি বা তরল খাবার খাওয়া দরকার। পানি বা তরল খাবার খাওয়ার কারনে শরীরে থাকা রোগের জীবাণু বা ভাইরাস প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। ফলে যে কোন রোগ দ্রুত সেরে ওঠে।

আরও পড়ুন : গ্যাসের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

এ ছাড়া অবসন্ন বা ক্লান্তি বোধ হলে সাথে সাথে পানি পান করবেন। এসময় পানি পান করলে শরীর এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এবং শরীরের ইন্দ্রিয় সজাগ হয়। ফলে ক্লান্তি বোধ চলে যায়।

তবে নির্দিষ্ট সময় পানি পান করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। পানি খেতে না ভাল লাগলে ফলের জুস, তরল পানীয় বা ডাবের পানি ও খাওয়া যাবে।

ছবি সূত্র: ইন্টারনেট

ডেস্কটপ ভিউ দেখুন